বিস্তারিত

 



দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাতকানিয়া সরকারি কলেজ। এ কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৯ খ্রিঃ। বিশিষ্ট সমাজসেবক, দানবীর মরহুম মোজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী টি.কে. কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। কলেজটি মোট ৯.৬০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদসহ সুন্দর অবয়ব নিয়ে কলেজ অঙ্গন। এছাড়া অনেক বড় খেলার মাঠ ও প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ বেষ্টিত একটি পুকুর কলেজ ক্যাম্পাসে বিদ্যমান আছে। ১৯৮২ খ্রিঃ সালে কলেজটি সরকারি হয়। শুরুতে কলেজটিতে এইচ.এস.সি, বি.এ ও বি.এস. সি কোর্স চালু ছিল। বর্তমানে এইচ.এস.সি, বি.এ ও বি.এস.সি ছাড়াও বি.বি.এস এবং গণিত,  রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা ও ইংরেজি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। কলেজের এইচ.এস.সি, স্নাতক (পাস) ও স্নাতক (সম্মান) পর্যায় মিলে প্রায় ছয় হাজার ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। কলেজের বর্তমানে ৫৮টি পদের মধ্যে ৩৬ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক থেকে এ কলেজটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। কলেজটি সাতকানিয়া উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কেরাণীহাট রাস্তার মাথা হতে কলেজ পর্যন্ত সরাসরি একটি রোড় বিদ্যমান আছে। ফলে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, আমিরাবাদ, চন্দনাইশসহ বিভিন্ন উপজেলার ছাত্র-ছাত্রীরা এ কলেজের অধ্যয়ন করছে। এ কলেজে বিভিন্ন পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের ফলাফল ঈর্ষণীয়। বিগত বছরগুলোতে এইচ.এস.সি’তে পাসকৃত বেশ কিছু সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী মেডিকেল কলেজ,  ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। কলেজের রোভার স্কাউট এবং বি.এন.সি.সি. ক্যাডেটদের কার্যক্রম অনেক সমৃদ্ধ। কলেজের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মজীবন সাফল্যমন্ডিত। উচ্চ পর্যায়ের জাতীয় রাজনৈতিক নেতা, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আমলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিভিন্ন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষসহ অনেক সফল ব্যবসায়ী  এদেশের মানুষের ভাগ্য ‍উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এ সাফল্যকে ধারণ করে আগামীতে আরো সুন্দর ও গৌরবোজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণে সাতকানিয়া সরকারি কলেজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে, এ প্রত্যাশা আগামী দিনের জন্য থাকল।